মানব দেহের বিভিন্ন রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন, Health Tips for home treatment

Health Tips for home treatment


আমরা প্রতিনিয়ত কোন না কোন সমস্যা বা রোগের সম্মুখীন হয়, আজকে আমরা জানবো মানব দেহের বিভিন্ন সমস্যা বা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা।

আসুন জেনে নিয় কোন রোগের জন্য কেমন ঘরোয়া চিকিৎসাঃ


  • নিউমোনিয়া হলে প্রচুর পরিমাণে কমলা লেবু খান, এটি নিউমোনিয়া নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
  • হাড় ক্ষয় জনিত সমস্যায় বেশি বেশি করে আঙ্গুর খান।
  • মুত্র জনিত সমস্যায় বেশি করে মিষ্টি কুমড়া খান।
  • হরমন সমস্যার জন্য নিয়মিত পাকা পেয়ারা খাবেন।
  • শীত জনিত শ্বাসকষ্টের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আদা যুক্ত লাল চা খাবেন।
  •  শ্বাস প্রশ্বাস জনিত সমস্যায় পেয়াজ খান।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত কাল জাম খান উপকার পাবেন। ও ডায়াবেটিস চিরতরে মুক্তির জন্য নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করুন।
  • রুক্ষ ও শুষ্ক চুল সমস্যার জন্য নিয়মিত শসা খাবেন।
  • পাইলস এর সমস্যায় নিয়মিতভাবে পাকা পেপে খাবেন।
  • মুখে দুর্গন্ধ এর জন্য কাচা পেয়ারা খাবেন।
  • জন্ডিস  এ ভুগছেন এর জন্য ডালিম খান।
  • কৃমির সমস্যায় বেশি করে আনারস খান।
  • কিডনি পাথর দুর করতে বেশি করে পাকা আম খাবেন।
  • প্রস্টেট ক্যান্সার দুর করতে বেশি করে টমেটো খান।

এছাড়াও...

থানকুনি পাতাঃ 
জ্বর কমায়, পেটের পীড়া ভালো করে, গ্যাস্টিক দুর করে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করে,খুসখুসে কাশি উপশম করে, আমাশয় ভালো করে, লিভারের সমস্যা দুর করে ও রক্ত দূষণ রোধে কার্যকরী।


তুলশী পাতাঃ
শ্বাস প্রশ্বাসের সময় তুলশী পাতা খুবই ভালো কাজ করে।
মানষিক চাপ কমায়, জ্বর - সর্দি দূর করে, মাংশ পেশির খিচুনি প্রতিরোধ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, পোকা মাকড়ের কামড়ের ব্যাথা উপশম করে, ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূরীকরণে কার্যকরী।


পুদিনা পাতাঃ
শ্বাস প্রশ্বাসের সময় পুদনা পাতা খুবই উপকারী।
পেটের ব্যাথা কমায়, ক্যান্সার প্রতিরোধক, মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করে, হেচকি সমস্যা দূর করে, সর্দিকাশি উপশম করে, ও অজ্ঞান ব্যাক্তির মুখের সামনে ধরলে জ্ঞান ফিরে আসে।







নিশিন্দাঃ
এই গাছের ফল,ফুল,পাতা, শিকড় সব কিছুই কাজে লাগে। গরম পানিতে এই নিশিন্দা পাতার নির্যাস ক্রনিক ব্যাথা দূুর করে,  বাত ও মাথা ব্যাথা উপশম করে, এটা হাপানি ও ঠান্ডা জনিত রোগেও বিশেষ কার্যকরী। গাছের ডাল পালা পোকামাকড় রোধী ও হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।




নিমঃ
কফ জনিত বুকের ব্যাথা দূুর করে, কৃমি নাশক ও উকুন নাশক, পোকামাকড়ের কামড়ের ব্যাথা উপশম করে।
দাত মজবুত করে, জন্ডিসের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিস এর জন্য ভালো, নিম পাতা গরম পানিতে করে গোসল করলে চর্মরোগ দুর হয়।


কালমেঘঃ
জ্বর সর্দি কাশি উপশম করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে লিভার সুস্থ রাখে, রস রক্ত পরিষ্কারক, পাকস্থলি ও যকৃতের শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে, পাতা সিদ্ধ করে ক্ষত স্থানে লাগিয়ে দিলে ঘা-পাচড়া ভালো হয়।
টায়ফয়েড এর প্রতিষেধক হিসেবে ব্যাবহার করা হয়,  ফ্লু ও সাইনাসাইটিসের জন্য উপকারি।



চিরতাঃ
ডায়রিয়া ও লিভারের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে চিরতার জল উপকারি। এলার্জি তে শরীর ফুলে উঠলে চিরতার জল খেলে উপকার পাবেন। এটি কৃমি নাশক, চুলকানি, চুল পড়ে যাওয়া ও হাপানি রোগের জন্য উপকারী।


বহেরাঃ
শ্বেতি রোগ, অকালে চুল পেকে যাওয়া, রক্ত আমাশয় ইত্যাদি তে খুবই উপকারী। এছাড়াও মধু মিশিয়ে চেটে খেলে কফের সমস্যা দুর হয়। টাক মাথায় বহেরার বিচি বেটে লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়। শরীরে ফুলে যাওয়া অংশে ছাল বেটে লাগালে ফুলা কমে যায়।


বাসক পাতাঃ
জ্বর সর্দি কাশি, শ্বাসকষ্ট জনিত কফ কাশি, প্রসাবের জ্বালাপোড়া, চুলকানি, জন্ডিস, দাতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া ইত্যাদি দুর করে ও উপকার পাওয়া যায়, ও বাসক পাতার রস গায়ের রং ফর্সা করে।


জলপাইঃ
কর্ম শক্তি বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, ক্ষত স্থান দ্রুত শুকায়, হাড় শক্ত করে ও আত্রাইটিস প্রতিরোধ করে।


আদাঃ
মাথা ব্যথা ও উচ্চ রক্তচাপ কমায়, মাতৃকালিন বমি বমি ভাব কমায়, শরীরের জয়েন্টের ব্যাথা কমায়, হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, অপারেশনের পর কাঁচা আদা খান, দ্রুত সেরে উঠবেন। ঠান্ডা সর্দি তে খুব ভালো কাজ করে।


আকন্দঃ
গ্যাস অম্বল/ এসিডিটি দূর করে, পেটের জ্বালাপোড়া উপশম করে, নিউমোনিয়া  দূর ও হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ও এর পাতা চুরুট বানিয়ে ধুমপান করলে শ্বাসকষ্ট দূর হয়।


আমলকিঃ
চুল পড়া রোধ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য ও এসিডিটি দূর করে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, নিশ্বাসের দুর্গন্ধ দুর করে, ডায়াবেটিস নিয়ত্রণ করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।









ঘৃতকুমারীঃ
চুল ও ত্বকের সুরক্ষায় বিশেষ ভাবে কার্যকরী, এর রস রক্তের সাথে মিশে রক্তে অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। হজমে মহা ওষধ হিসেবে কাজ করে।

বেলঃ
বেলের শরবত শরীর ও মনে তৃপ্তি যোগায়, হজম শক্তি বাড়ায় ও সৃতিশক্তি বাড়ায়, ডায়রিয়া ও আমাশয় রোগে কার্যকরী। পাইলস, অ্যানাল ফিস্টুলা, হেমোরয়েড প্রতিরোধে কার্যকরী।


চালতাঃ
এটি হার্ট ও লিভারের টনিক হিসেবে কাজ করে, অর্শ রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া নিরাময়ে সাহায্য করে, ডায়াবেটিস এর জন্য ও ঠান্ডা কাশির জন্য উপকারি। বদহজম সমস্যা ও দূর করে।


হলুদঃ
পেটের বায়ু ও পুরোনো ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রনে কার্যকর। কৃমি নাশক, লিভারের সমস্যা দুর করে, কফ সর্দি কাশি ঠান্ডা এসব থেকে মুক্তি দেয়, পুরোনো জ্বর ও কাশি দুর করতে সাহায্য করে।


ডুমুরঃ
উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, হাড় মজবুত করে, হৃদপিণ্ড সুস্থ্য রাখে, স্তন ক্যান্সার দূর করে, দেহের ওজন কমায়, পেটের সমস্যা দূর করে ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করে।


হরিতকিঃ
হরিতকীর গুড়ো জলে মিশিয়ে খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। রক্তচাপ ও অন্ত্রের কমায় ও স্নায়ুবিক শক্তি বাড়ায়, দাঁতে ব্যথা হলে হরিতকী গুড়া লাগালে ব্যথা সেরে যায়।


 অর্জুনঃ
 বুক ধড়ফড় দুর করে, লিভারসিরোসিস এর টনিক হিসেবে কাজ করে, ঋতুস্রাব জনিত সমস্যা ও ব্যথা কমায়। অর্জুনের ছালের রস যৌন উদ্দিপনা বাড়ায়।


পেয়াজঃ
গলা ব্যথা দুর করে, মুখের ব্রন দুর করে, পোড়া স্থানের ব্যথা ও জ্বালা কমায়। চুল পড়া রোধ করে, এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, হেচকি বন্ধ করে ও বমি বমি ভাব দুর করে।


অশ্বগন্ধাঃ
শুক্রাণু বাড়াতে অশ্বগন্ধার নাম সুবিদিত। এ গাছের রস শক্তিবর্ধক, ইনসমোনিয়া দুর করে, চোখের ব্যথা নিরাময় করে, মানষিক ও শারীরিক দুর্বললতা রোধ করে।









সর্পগন্ধাঃ
উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, গাছের মুল নানা রকম চিকিৎসায় কাজে লাগে। উত্তেজনা প্রশমিত করে ও ঘুম ভালো হয়, দৈহিক দুর্বললতা ও মানষিক অবসাদ জনিত কারনে মুলের চুর্ন ব্যবহার করা হয়। সাধারণ জ্বর, পেটের গোলমালেও উপকারী।


সজিনাঃ
সজিনা ক্ষুধা বাড়ায় ও বল বির্য তৈরী করে, পেটের অসুখে উপকার, বাত ও শ্লেষ্মা সারে। গোদ ও গলগন্ড, পেটে গ্যাস, ও শরীরের বিভিন্ন দাগ সারতে সাহায্য করে।


রসুনঃ
রসুন অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, উচ্চ রক্তচাপ কমায়, হার্ট সুস্থ রাখে, সর্দি কাশির জন্য উপকারি, রক্তের ক্লোলেস্টেরল হ্রাস করে, পরিপাক সমস্যা দুর করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, কাচা রসুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।


তেতুলঃ
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে, রক্তের কোলেস্টেরল কমায়, মেদ ভুড়ি কমায়, এসিডিটি ও শরীরের জ্বালাপোড়া উপশম করে।




তেজপাতাঃ
শরীরের লাবণ্য বৃদ্ধি করে, চর্মরোগ দূর করে ও প্রসাবের হলুদ রং দূর করে, এলার্জি, শরিরের দুর্গন্ধ, মুখের অরুচি, চোখের পিচুটি দুর করে ও অতিরিক্ত ঘাম বের হওয়া কমায়।


তেলাকুচাঃ
তেলাকুচায় প্রচুর বিটা ক্যারোটিন আছে, ডায়াবেটিস প্রতিরোধী, জ্বর দুর করে, হাঁপানি বংক্রাইটিস, কুষ্ঠ্য, ও জন্ডিস রোগের জন্য বিশেষ উপকারী। রক্ত আমাশয় বা সাদা আমাশয় এর পাতার রস চিনিসহ সেবনে উপকার হয়।


আরো দেখুন


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
close