প্রবাসী কল্যাণ কার্ড তৈরীর পদ্ধতি ও সুবিধা | BMET Card Process for all Countries

BMET Card Process for all Countries |
প্রবাসী কল্যাণ কার্ড তৈরীর পদ্ধতি ও সুবিধা

BMET Card Process for all Countries


আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন। আজকের পোস্টে আলোচনা করবো যারা দেশের বাহিরে থাকেন মানে বিদেশে থাকেন তাদেরকে উদ্দেশ্য করে প্রবাসী কল্যাণ কার্ড কি? কিভাবে প্রবাসী কল্যাণ কার্ড তৈরী করবেন এবং খরচ কত এই সকল বিষয় আলোচনা করার চেষ্টা করবো।


BMET Card বা প্রবাসী কল্যাণ কার্ড কি?


প্রবাসীদেরকে সরকারিভাবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের পরিচয়পত্র কে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্মার্টকার্ড বলে বা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্মার্টকার্ড বলে অথবা BMET কার্ড বলে।


প্রবাসী কল্যাণ কার্ড কি, BMET কার্ড কি? প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রানালয়ের স্মার্ট কার্ড কি? আসলে এই সকল কাজ গুলো একটি কাজ শুধু নাম ভিন্ন।

বর্তমানে BMET কার্ড এর চাহিদা বেড়েছে অনেকেই বানাতে চাচ্ছেন, অনেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে কার্ড তৈরী করছেন।


অনেকের মনে প্রশ্ন হতে পারে এই BMET কার্ড এর ফায়দা কি? এটা বানালে আমি কি পাবো? কিভাবে বানাবো? কত টাকা খরচ হবে? আজকে আমরা

এই সকল বিষয়ে ধাপে ধাপে বিস্তারিত আলোচনা করবো।


BMET কার্ড তৈরী করতে কত খরচ লাগবে?


BMET কার্ড বা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্মার্ট কার্ড বানানোর জন্য আপনার খরচ হবে মাত্র 230 রিয়াল আর যদি আপনি সরাসরি কনস্যুলেটের মাধ্যমে বানান তাহলে আপনার খরচ হবে 170 রিয়াল এই 170 রিয়াল এটা সরকারি খরচ। তবে যদি বাহিরে থেকে বানান তাহলে 230 - 250 রিয়াল খরচ হবে।


খেয়াল রাখবেন এটা একটা পরিচয় পত্র। এটা ইন্সুরেন্স এর মত কাজ করবে আপনার অক্ষম সময়টাতে এই কার্ডটি হয়তো অনেক বড় একটা অবদান রাখতে পারে।


BMET কার্ড এর সুবিধা কি?


প্রথমত বিমানবন্দরে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রবাসী কল্যাণ কার্ড না থাকলে অনেক ধরনের কাগজপত্র চেক করা হয় যদি আপনার কাছে প্রবাসী কল্যাণ কার্ড থাকে তাহলে তেমন একটা ঝামেলা বিমানবন্দরে হয় না। বর্তমানে যারা নতুন আসছেন এবং 2015 সালের পরে যারা এসেছেন তাদের প্রত্যেকেরই কিন্তু BMET কার্ড আছে কারণ এটা বাধ্যতামূলক 15 সালের পর থেকে এটা বাধ্যতামূলক করেছে কিন্তু এর আগে যারা এসেছেন তাদের অনেকেই এই কার্ড টি তৈরি করছেন আবার অনেকেই বানানোর জন্য ঘোরাফেরা করছেন


শিক্ষাখাতে প্রবাসী কোটা চালু হয়েছে। প্রবাসী কোটায় আপনার সন্তানকে বিভিন্ন স্কুল এবং কলেজে এবং ইউনিভারসিটিতে ভর্তি করাতে পারবেন। এমনকি আপনার সন্তান যদি মেধাবি হয় তাহলে তারা মেধাবী বৃত্তি পাবে সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে মেধাবৃত্তি দিবে।


প্রবাসে যদি কেউ মারা যায় এয়ারপোর্টে লাশের সাথে লাশ দাফনের জন্য 35 হাজার টাকা দেওয়া হবে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ওয়েদার বোর্ড থেকে লাশ দাফনের জন্য 35 হাজার টাকা দেওয়া হবে এবং যদি প্রবাসে মারা যায় তাহলে প্রবাসীর পরিবারকে এককালীন তিন লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।


প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন খুব সহজেই। সাধারণত আমরা যখন ঋণের বা লোন তোলার জন্য যায় তখন আমাদেরকে অনেক ধরনের কাগজপত্র দিতে হয়, সম্পত্তির দলিল দেখাতে হয় এমনকি অন্যান্য কাগজপত্রও দেখাতে হয় যদি প্রবাসী কল্যাণ কার্ড করে থাকেন তবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে অগ্রাধিকার পাবেন এবং সেটা লোন তোলার ক্ষেত্রে আপনার পদ্ধতি টা অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে এবং আপনার অনেক কম কাগজপত্র লাগবে।


মনে আপনার করুন আপনার সম্পত্তি আছে যদি কারো সাথে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয় বা সমস্যা সৃষ্টি হয় তাহলে আপনি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সহযোগিতা কামনা করতে পারবে আপনার কাছে প্রবাসী কল্যাণ কার্ড থাকে। প্রবাসীদের সম্পদ সুরক্ষার জন্য তাদের একটা কমিটি আছে সেই কমিটির মাধ্যমে আপনি সাহায্য কামনা করতে পারবেন।


অসুস্থ, পঙ্গু কর্মীদের জন্য বা প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশ বিমানবন্দরে অ্যাম্বুলেন্সের সহায়তা প্রদান। কোন অসুস্থ অথবা পঙ্গু কর্মী যদি দেখা যায় তাহলে সে তার BMET কার্ড টি দেখিয়ে সরকারিভাবে অ্যাম্বুলেন্সের সহায়তা পাবেন এক্ষেত্রে কোন টাকা পয়সা লাগবে না।


প্রবাসে থাকা অবস্থায় কোন কর্মী বা কোন প্রবাসী যদি অসুস্থ হয়ে যায় বা শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে যায় তারপর দেশে ফেরত গেলে তাকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে। কোন অসুস্থ কর্মীর মৃত্যু হলে কোম্পানি যদি না দায়ভার বহন করে সেখানে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় দায়িত্ব পালন করে।


BMET কার্ড তৈরীর পদ্ধতি


উপরক্ত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধায় BMET কার্ড বানাতে পারেন। BMET কার্ড বানানোর জন্য তেমন বেশি খরচ হয় না। আপনি দূতাবাসের মাধ্যমে বানাতে পারেন বা কনস্যুলেটের মাধ্যমে বানাতে পারেন অথবা যেকোন প্রবাসী সেবা কেন্দ্র থেকে BMET কার্ড টি বানাতে পারবেন।


সৌদি আরবে বাংলাদেশী দূতাবাসের ঠিকানা

ঠিকানাঃ 8039 ডারেন স্ট্রিট, কূটনৈতিক কোয়ার্টার

রিয়াদ, সৌদি আরব

টেলিফোনঃ +966 11-419 5300

ই-মেইলঃ mission.riyadh@mofa.gov.bd

অফিসের সময়সূচি জানার জন্য

সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে কল করুন  +966 11-419 5300 নাম্বারে।


BMET কার্ড তৈরী করতে যা যা প্রয়োজন হবে

আপনার পাসপোর্টের পরিষ্কার একটা ফটোকপি

ইকামার ফটোকপি

আপনার হুরুব যদি না থাকে তারপরেও কিন্তু আপনি BMET কার্ড বানাতে পারবেন।


অনলাইনে BMET Cheak Process


বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রথমে যে ডকুমেন্টে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গ্রহণ করতে হয় সেটি হচ্ছে দিয়ে BMET রেজিস্ট্রেশন আইন। BMET ছাড়া সঙ্গতভাবে যেতে পারবেন না। এই BMET রেজিস্ট্রেশন করার জন্য দুটি মাধ্যম রয়েছে একটি অনলাইনে আরেকটি অফলাইনে।


BMET এপ্লিকেশন করার পরে কতদিন পরে অনলাইনে আপডেট হচ্ছে অথবা এটি আপনি কি করে জানবেন যে অনলাইনে আপডেট হয়েছে কিনা।


BMET চেক করতে হলে প্রথমে একটি ব্রাউজার ওপেন করুন কম্পিউটার বা মোবাইলে তারপরে সার্চ বারে গিয়ে http://www.old.bmet.gov.bd/BMET/generalreports এই লিংকে প্রবেশ করুন


ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে উপরের চিত্রের মত একটি ফর্ম আসবে সেখানে আপনার পাসপোর্ট আইডি নাম্বার দিন দিয়ে আরোও সম্পুর্ন ফর্মটি পূরণ করে নিচের ফাইন্ড বাটনে ক্লিক করুন।


যদি আপনার BMET ইনফরমেশনগুলো আপডেট হয়ে থাকে তাহলে বিস্তারিত তথ্য গুলো দেখতে পারবেন। এবং আপনার তথ্যের সাথে এই তথ্যগুলো খুব ভালোভাবে চেক করে নেবেন।


এরপর ওপরের নাম্বারকৃত নীল লেখাটির উপর ক্লিক করে BMET Card PDF ডাউনলোড করে নিবেন।


আশা করি সকলেই বুঝতে পেরেছেন। পোস্ট টি পছন্দ হয়ে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
close