Hair Loss and Grow New Hair way চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায়

Hair Loss and Grow New Hair way
চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায়

Hair Loss and Grow New Hair way


What to do if the hair is falling out day by day?
দিন দিন চুল পড়ে যাচ্ছে করণীয় কি? জানতে চাই এমন একটি প্রশ্ন প্রায় সব মানুষের মনে চিন্তার আবির্ভাব ঘটায়। আজকে আমরা চুল পড়া সমস্যা ও চুল পড়া রোধে করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

চুল ঘন কালো মজবুত করতে সাহায্য করে এমন অনেক কিছুই আছে সেগুলো হলঃ
  1. চুলের যত্নে ১০ টি খাবার
  2. চুলের যত্নে তেল ও ভিটামিন ট্যাবলেট
  3. চুলের যত্নে কন্ডিশনার ও চুল শুকানো
  4. চুলের যত্নে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি

চুল ঘন কালো মজবুত করতে সাহায্য করে এমন দশটা খাবারের কথা বলব।
তারপর বলব কোন তেল আর ভিটামিন ট্যাবলেট নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। আর চুলের যত্ন নেয়ার সঠিক উপায় ও আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।

10 Foods to Strengthen Hair, Prevent Hair Loss and Grow New Hair
মজবুত চুল, চুল পড়া প্রতিরোধ ও নতুন চুল গজাতে সহায়ক ১০ টি খাবার

Almonds in hair care ( চুলের যত্নে বাদাম )

যেমন চিনা বাদাম, কাঠ বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম, বল নাট ইত্যাদি এগুলোতে আছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। বিশেষ করে ওমেগা সিক্স প্যাক যা চুলের গোড়ার চুল লম্বা করতে সাহায্য করে। এই ওমেগা সিক্স প্যাক আমাদের শরীর নিজে থেকে তৈরি করতে পারে না, এগুলো খাবার থেকে নিতে হয়। এই ওমেগা সিক্স প্যাকের অভাবে মাথার চুল পড়ে যায়, চুলের রং হালকা হয়ে যায়। তাই প্রতিদিনের নাস্তায় কিছু বাদাম রাখতে পারেন। তবে অনেক পরিমাণে খাবেন না তাহলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।


Vegetables and fruits for hair care ( চুলের যত্নে শাকসবজী ও ফলমূল )

হলুদ কমলা রঙের সবজি এবং ফল, মিষ্টি আলু, গাজর, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া এগুলো ভিটামিন-এ তে ভরপুর। চুলের ফলিক্রল অর্থাৎ চুলের গোড়ায় মানে যেখান থেকে চুল টা বড় হয় সেইটা ঠিক মতো কাজ করার জন্য দরকার ভিটামিন-এ, আর সেটার খুব ভালো উৎস হলো এই হলুদ, কমলা রঙের ফল এবং শাক সবজি। দিনের যতখানি ভিটামিন এ দরকার আধা কাপ গাজরে তার অর্ধেকের বেশি হয়ে যায়। তাই দিনে কিছু হলুদ ফল ও শাক সবজি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

Oily fish in hair care ( চুলের যত্নে তৈলাক্ত মাছ )

প্রচলিত একটা ধারণা আছে ওমেগা ফ্যাটের জন্য জন্য সামুদ্রিক মাছ ই খেতে হবে যেমন টুনা, স্যামন। তবে আমাদের দেশী মাছ যেমন ইলিশ, কই, মলা, চাপিলা এগুলোতেও ওমেগা সিক্স ফ্যাট আছে।

Eggs for hair care ( চুলের যত্নে ডিম )

সুন্দর চুলের জন্য ডিম খুবই ভাল বন্ধু। আমাদের চুল শর্করা বা ফ্যাটের তৈরি না, চুল প্রায় পুরোটায় প্রটিন দিয়ে তৈরী হয়। আর আমরা গবেষণা থেকে নিশ্চিত জানি যে খাবারে প্রোটিনের অভাব হলে নিশ্চিত চুল পড়ে যায়। কিন্তু আমাদের অনেকেরই খাবারেই যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিন থাকে না। কারণ আমরা সাধারণত ভাত ই বেশি খায়। তাই সুন্দর চুলের জন্য খাবারের তালিকায় ডিম রাখবেন আরো কিছু বোনাস আছে যেমন বায়োটিন সেলেনিয়াম ইত্যাদি এগুলো চুল ঘণ, কালো ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।

Spinach for hair care ( চুলের যত্নে পালং শাক )

চুলের উপকারে পালং শাক একটি চমৎকার খাবার। এতে চারটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আছে যা চুলের ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায় সেগুলো হল ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রণ, ফোলেট এই সব গুলোই মজবুত, ঘণ, কালো চুলের জন্য প্রয়োজন

Pulses in hair care ( চুলের যত্নে ডাল )

সুন্দর চুলের জন্য ডাল খুবই উপকারী কারণ ডাল এ প্রটিন আছে ভাল পরিমাণে আায়রণ আছে। আয়রন আমাদের মাথার তালুতে রক্ত সরবরাহ করে অক্সিজেন পৌঁছাতে সাহায্য করে। আমরা গবেষণা থেকে নিশ্চিত জানি যে আয়রনের অভাবে চুল পড়ে। সুন্দর চুলের জন্য ডাল এ আরো কিছু বোনাস আছে যেমন জিংক, ফোলেট।
খুব পাতলা ডাল না খেয়ে ঘন করে রান্না করে খেলে পুষ্টি উপাদানগুলো বেশি করে পাবেন।

Seeds in hair care ( চুলের যত্নে বীজ )

বিভিন্ন ধরনের বীজ যেমন সিয়া সিডস, মিষ্টি কুমড়ার বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, তিসির বীজ এগুলোতে সুন্দর চুলের জন্য চমৎকার উপাদান আছে। যেমন সিয়া সিডস এ আছে প্রচুর পরিমাণে আলফোলিনাফোলিক এসিড, এক প্রকার ওমেগা থ্রী ফ্যাট আছে, মিষ্টি কুমড়ার বীজে আছে জিংক, সূর্যমুখীর বীজে আছে বায়েটিন, তিসির বীজে আছে সেলেনিয়াম। গবেষণায় চুল পড়ার সাথে এগুলোর সম্পর্ক পাওয়া গেছে। এই বীজগুলো ভাত খাওয়ার সময় তরকারির উপর একটু বীজ ছিটিয়ে দিতে পারেন। রাতে টকদই অল্প দুধের সাথে সিয়া সিডস মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন সকালে কিছু ফলের সাথে খেয়ে নিলেন।

Chhola in hair care ( চুলের যত্নে ছোলা )

ছোলায় সুন্দর চুলের জন্য তিনটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে এগুলো হল আয়রন, জিংক, প্রোটিন। এবং এই তিনটার যে কোনোটার অভাবে চুল পড়তে পারে। তাই চুল সুন্দর করতে মাঝে মাঝেই খাবারের ছোলা রাখতে পারেন।

Sour yogurt for hair care ( চুলের যত্নে টক দই )

টক দই এটা প্রোটিনের আরেকটি উৎস। সাথে চুলের জন্য উপকারী আরো কিছু উপাদান আছে যেমন জিংক, প্রোটিন তবে প্রোটিনের জন্য মুরগির মাংস ভালো খাবার।

Sour fruit in hair care ( চুলের যত্নে টক ফল )

টক ফল যেমন কমলা, মাল্টা, লেবু, কিউই ফল এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। সুন্দর চুলের জন্য ভিটামিন সি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি এর অভাবে চুল বেকিয়ে ও পেচিয়ে যায় মেডিকেলের ভাষায় এটাকে বলে কর্ডস্ক্রুহেয়ার। আবার ভিটামিন সি এর অভাব হলে শরীর আয়রন শোষণ করতে পারে না ফলে চুল পড়ে যায়। শরীর নিজে থেকে ভিটামিন সি বানাতে পারেনা তবে টক জাতীয় ফল খেলে সহজে সেখান থেকে ভিটামিন সি নিয়ে নিতে পারে যেমন, একটা কমলা থেকেই দিনের প্রায় ৮০% শতাংশ চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। যারা টক একটু কম খেতে পারেন তাদের জন্য টমেটো, পেয়ারা এই ফলগুলো ভিটামিন সি এর উৎস হতে পারে।

উপরের যেই ১০ টি খাবারের কথা বলা হয়েছে উক্ত খাবার গুলো শরীরের ভেতর থেকে পুষ্টি যোগাবে।

Hair care from outside the body ( শরীরের বাহিরে থেকে চুলের যত্ন )

সুন্দর চুলের জন্য শরীরের বাহিরে থেকে আপনারা নিচে দেওয়া নিয়ম গুলো অনুসরণ করতে পারেন।


Hair care oils and vitamin tablets ( চুলের যত্নে তেল ও ভিটামিন ট্যাবলেট )

সুন্দর চুলের জন্য কদুর তেল ব্যবহার করতে পারেন একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে এই তেল টা তিন মাস ব্যবহার করার পরে তাদের নতুন করে চুল গজিয়েছে আর চুল আগের থেকে মোটা হয়েছে। তাই কদুর তেল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আপনারা যে কোন ব্রান্ডের কদুর তেল ব্যবহার করতে পারেন তাতে চুল পড়া রোধে সাহায্য হতে পারে।

Tablets to prevent hair loss ( চুলের পড়া রোধে ট্যাবলেট )

এখন আমরা জানবো যে চুল পড়া রোধে কোন ট্যাবলেট টি কার্যকর। বাজারে অনেক ধরনের ভিটামিন ট্যাবলেট বিক্রয় হয়, অনেক ধরনের চমকপ্রদ কথাবার্তা লেখা থাকে সেগুলোতে, তবে বেশির ভাগেরই বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নেই অযথা টাকার অপচয়। চুলের জন্য বেশিরভাগ পুষ্টি উপাদান আলাদা ট্যাবলেটের চেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার থেকে আসলেই ভাল হয়, তবে এক্ষেত্রে একটা ব্যাতিক্রম আছে সেটা হল ভিটামিন ডি। খাবার থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া খুব কঠিন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়ার সহজ উপাই হল রোদে সময় কাটানো কিন্তু যাদের পক্ষে সম্ভব না তারা আলাদা করে ভিটামিন ডি ট্যাবলেট খেতে পারেন। তবে ভিটামিন ডি ট্যাবলেট খাওয়ার ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকবেন কারন অতিরিক্ত ট্যাবলেট খেলেও চুল পড়তে পারে যেমন অতিরিক্ত ভিটামিন এ ট্যাবলেট খাওয়ার ফলেও চুল পড়ে যায় কিন্তু আপনি যতই হলুদ সবজি খেয়ে শরীরে ভিটামিন এ ঢুকান তাতে খতি নাই।

There are some common mistakes in hair care ( চুলের যত্নে সাধারণ কিছু ভুল )

1. কন্ডিশনার ও চুল শুকানোঃ অনেকে শ্যাম্পু ব্যবহারের পরে কন্ডিশনার ব্যবহার করেন না এইটা চুলের জন্য ক্ষতিকর। কারণ আমাদের চুল ভালো থাকার জন্য কিছু তেল দরকার হয় যা মাথার তালু থেকে এমনিতেই আসে কিন্তু আমরা যখন শ্যাম্পু ব্যবহারের পর চুল ধুয়ে ফেলি তখন তেল গুলোও ধুয়ে চলে যায়। কন্ডিশনারের কাজ হল তেল গুলোকে আবার ফেরত আনা।
তাই প্রতিবার চুলে শেম্পু করার পর চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন।

2. ভেজা চুল ঘষে ঘষে মুছবেন না। অনেকে আছে গোসল করার পর চুল ঘষে ঘষে মুছেন আর এর ফলে চুল নষ্ট হয়ে যায় এমন না করে তোয়ালে দিয়ে আস্তে আস্তে চাপ দিয়ে পানি বের করবেন।



3. ভেজা চুল আচড়াবেন না। এতে চুল নষ্ট হয়, চুল বেশি কোকড়া না হলে একটু শুকিয়ে যাওয়ার পর চওড়া বা ফাকা দাতের চিরুনি দিয়ে চুল আচড়াবেন।

4. ব্লু ডায়ার বা কার্লিন আয়রন দিয়ে চুল শুকাবেন না। চুল বাতাসে শুকিয়ে নেয়া সব থেকে ভালো। তবে যদি ব্লু ডায়ার বা কার্লিন আয়রন ব্যবহার করতেই হয় তবে কম হিটে এবং যত কম সময় ব্যবহার করবেন ততই চুলের জন্য ভালো হবে। এবং সপ্তাহে একবারের বেশি ব্যবহার না করায় ভালো।

5. খুব টাইট করে চুল বাঁধবেন না, যারা খুব টাইট করে চুল বেঁধে রাখেন সেই টানের কারণে চুল পড়তে পারে এটা কে বলে ট্র্যাকশনালোসিকিয়া।

The modern treatment of hair loss ( চুল পড়ার আধুনিক চিকিৎসা )

কিছু রোগের কারণে চুল পড়তে পারে যেমন থায়রয়েড, রক্তশূন্যতা। আপনার যদি খাবার দাবার ঠিক থাকে এং চুলের যত্ন নিচ্ছেন ঠিকমত কিন্তু এরপরও যদি অনেক চুল পড়ে তাহলে একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। তিনি খতিয়ে দেখতে পারবেন কোনো রোগের কারণে এমন হচ্ছে কিনা, রোগ ধরা পড়লে সে অনুযায়ী চিকিত্সা করা যাবে।

চুল পড়তে থাকার আরেকটি অন্যতম কারণ অ্যানড্রোজেনিক অ্যালোপিসিয়ার নামের একটা রোগ। এই রোগে ছেলেদের মাথায় সাধারণত টাক পড়া শুরু করে কপালের দুপাশ থেকে চুল টাক হতে পারে। মেয়েদের সাধারনত টাক হয় না কিন্তু চুল পাতলা হয়ে যায় মাথায় শীতি বড় হয়ে যায়। এই দুই ক্ষেত্রেই চিকিৎসা আছে। এবং দুইটা ঔষধ খুব ভালো কাজ করে। ওষুধ গুলোর নাম হল মিনাক্সিডেল ও ফেনাসিটারাইড। চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন এবং তিনি রোগ অনুযায়ী ঔষধ দিবেন।

ঔষধ ছাড়াও দেশে আরো কিছু উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে যেমন হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট অর্থাৎ মাথার পেছন থেকে চুল এনে সামনে বসানো। তারপর পিআরপি থেরাপিতেও কেউ কেউ উপকার পাচ্ছেন। অর্থাৎ চুলপড়ার অনেক ধরণের চিকিৎসা আছে একজন ডার্মাটোলজিস্ট বা স্ক্রিনের ডাক্তার চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন।


আপনার মতামত প্রকাশ করার জন্য কমেন্ট করুন।

Next Post Previous Post
1 Comments
  • Anonymous
    Anonymous December 1, 2022 at 8:41 AM

    YES,

    it is very helpful. Iam satisfied.

Add Comment
comment url
close